অনলাইনে ব্যবসার জন্য কিভাবে একটি পরিপূর্ণ ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করবেন?

create-facebook-page

বর্তমানে ফেসবুকে মাসে ২.২৩ বিলিয়ন একটিভ ইউজার আছে। ফেসবুকের মাধ্যমে একটি ছোট ব্যবসায়ের মালিক অথবা একটি ব্র্যান্ডের পরিচালক হিসাবে আপনার বড় সুযোগ রয়েছে টার্গেট অডিয়েন্সের সাথে কানেক্ট হওয়ার। বাংলাদেশে ফেসবুকের মাধ্যমে বিজনেস করার বিশাল সুযোগ রয়েছে। যদি আপনার পেজটা প্রফেশনালী হয়ে থাকে সেল বেড়ে যাবে অনেক বেশী। যদি আপনার পেজটা পরিপূর্ণ হয়ে থাকে আপনার বিজনেসের বিশ্বস্ততা বেড়ে যাবে বহুগুণে।

ব্যাবহারকারীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ফেসবুক পেজের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নানা পরিবর্তন বা আপডেট এসেছে এবং প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। প্রতিটি আপডেটেই নানা কিছু ইম্প্রুভ হচ্ছে। তাই আমাদেরও নিত্য নতুন বিষয়গুলো মাথায় রেখে বিজনেস ফেসবুক পেজ পরিচালনা করতে হয়।

চলুন শুরু করা যাক আজকের মূল আলোচনা যে আপনি কিভাবে আপনার ব্যবসার জন্য একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ খুলবেন:

স্টেপ – ১

বিজনেস পেজ খুলার জন্য প্রথমেই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট টি লগইন করুন। তারপর এই লিংকে প্রবেস করুন- https://www.facebook.com/pages/creation/ তারপর কোন ধরনের পেজ খুলতে চান সিলেক্ট করুন। Business/Brand or Community and Public Figure. আপনি Business/Brand এ ক্লিক করে বাকি কাজ গুলো শেষ করুন।

স্টেপ-২

এরপর পেজের বেসিক ইনফর্মেশন গুলো পূরণ করুন। যেমন: পেজের নাম, ক্যাটাগরি, এড্রেস, ফোন নাম্বার ইত্যাদি।

স্টেপ-৩

প্রোফাইল ফটো অর্থাৎ আপনার ব্যবসার লোগো এড করুন। আপনি এখানে আপনার প্রতিষ্ঠানের লোগো দিতে পারেন। সাইজের ক্ষেত্রে স্কয়ার ডাইমেনশন ৫০০x৫০০ ভালো অপশন। কারণ, ফেসবুক সার্কেল শেপে ক্রোপ করে নিবে।

স্টেপ-৪

কভার ফটো এড করুন। কোন ভিউয়ার বা কাস্টমার আপনার পেজে প্রবেশ করলে প্রথমে বড় করে কভার ফটোটি দেখবে। তাই কভার ফটোটি হতে হবে আর্কর্ষনীয়। কভার ফটো আপনার বিজনেসের ভাষা। এর মাধ্যমে ভিজিটর প্রথম দেখাতে বিজনেস সম্পর্কে ধারণা পাবে। আপনি এখানে কভার ভিডিও ইউস করতে পারেন। ভিডিওর মাধ্যমে আপনি আরো বিস্তারিত তুলে ধরতে পারবেন। তাই একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার দিয়ে কভার ফটোটি করিয়ে নিতে পারেন।

স্টেপ-৫

    • পেজের সকল তথ্য পরিপূর্ণভাবে পূরণ করুন। পেজের সেটিংস এবং পেজ ইনফোতে ক্লিক করে সকল তথ্য পরিপূর্ণভাবে পূরণ করুন। যেমনঃ
    • ডেসক্রিপশন- আপনার পেজ এবং বিজনেস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিন।
    • ক্যাটাগরিস- ৩ টি ক্যাটাগরি দিয়ে দিন যাতে কাঙ্ক্ষিত কাস্টমার সহজে আপনার পেজ খুঁজে পায়।
    • কন্টাক্ট ইনফরমেশন- আপনার ফোন নাম্বার, ওয়েব সাইট, এড্রেস এড করে নিন।
    • লোকেশন- আপনার যদি বাস্তবিক স্টোর/শো-রুম থেকে থাকে শেয়ার করে দিন।
    • কর্ম ঘন্টা- আপনার যদি সুনির্দিষ্ট কর্মঘন্টা থেকে থাকে সেট করে দিন। অলওয়েজ ওপেন করে রাখতে পারেন।
    • মোর- মোর অপশনে আরো অনেক কিছু এড করে দিতে পারবেন। প্রাইজ রেন্জ সেট করে দিতে পারেন যদি প্রয়োজন হয়।

স্টেপ-৬

ইউজার নেম তৈরি করে নিন। ইউজার নেমের মাধ্যমে সহজে আপনার পেজ খুঁজে পাবে কাস্টমাররা। এবং এর মাধ্যমে আপনি একটি শর্ট কাস্টমস ইউআরএল তৈরি করতে পারবেন।

স্টেপ-৭

এড এ বাটন।

কল নাও, সেন্ড এ ম্যাসেজ, শপ নাও ইত্যাদি অপশন ব্যবহার করতে পারেন। এর সাহায্য আরো সহজে কাস্টমাররা আপনার সাথে কানেক্ট হতে পারবে।

স্টেপ-৮

পেজ কাস্টমাইজড করুন। পছন্দমত টেমপ্লেট ব্যবহার করে আপনার পেজকে আরো আর্কষনীয় করে নিন।

স্টেপ-৯

ফিচার শপ। শপ বাটনে ক্লিক করে আপনার পণ্য গুলো ফিচার করুন।

স্টেপ-১০

আপনার ব্যবসায়িক ও জীবনের গল্প তুলে ধরুন। ইউর স্টোরি এই অপশনটি ব্যবহার করে এটি করতে হবে। প্রথমে একটি স্টোরি ব্যানার সেট করুন। তারপর আপনার সম্পর্কে এবং আপনার বিজনেস সম্পর্কে লিখুন। এই ফিচার ব্যবহার করে আপনি বিজনেসের বিশ্বস্ততা তৈরি করতে পারবেন।

স্টেপ-১১

টিমমেট বা অন্য কাউকে দায়িত্ব দিন। এডমিন, মডারেটর, এডিটর ইত্যাদি শ্রেণীতে ভাগ করে দায়িত্ব বন্টন করে দিন। এতে আপনার কাজ আরো সহজ হবে।

ফেসবুক পেজ মার্কেটিং প্রো টিপস –

  • আপনার রানিং অফার গুলো লিস্ট করে দিন অফার অপশনে।
  • রিভিউ এলাউ করে দিন।
  • আপকামিং ইভেন্ট গুলো লিস্ট করে দিন।
  • ফেসবুক গ্রুপ থাকলে পেজে লিংক করে দিন।
  • বন্ধুদেরকে ইনভাইট করুন৷ ইনভাইট করার আগে নতুন পেজ হলে পাঁচটা পোস্ট করুন।
  • অটোমেটিক মেসেজ রিপ্লাই চালু করে রাখুন।

 

বিজনেস কে আরো বেশি গ্র করার জন্য আপনার পেজের মার্কেটিং করুন। ফেসবুকের পেইড অ্যাড দিন।